1. [email protected] : admi2019 :
| বঙ্গাব্দ

পাচঁ বছরের শিশু ছোট্ট রোজা মনি ধর্ষণ

রিপোর্টারের নামঃ মোঃ জাবেদুল ইসলাম
  • আপডেট টাইমঃ 15-05-2025 ইং
  • 7669 বার পঠিত
ad728

বাচ্চা একটা মেয়ে খেলতে বের হয়েছিল। এতটুুকু মেয়ে কিই বা বুঝে, প্রতিদিন বিকালেই পাশের বাসার অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে খেলে।
তারপর সন্ধ্যার আগে আগেই বাসা ফিরে আসে।
 তাই মা ও আর অতটা চিন্তা করেনি। 

কিন্তু গতকাল বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়, তারপর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। কিন্তু সেই ছোট্ট মেয়েটা ঘরে ফিরার কোন নামগন্ধ নেই। 
মায়ের মনে সন্দেহ ঢুকে, আশেপাশে তন্য তন্য করে খুঁজতে থাকে কিন্তু পায় না।
মেয়েটা একদমই বাচ্চা, বয়স মাত্র পাঁচ বছর। এত ছোট মেয়ে কোথায় যাবে বুঝে উঠতে পারে না মা
 চারদিকে খুঁজা শুরু করে। 
কিন্তু না পেয়ে অজোরে বিলাপ করে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকে- আমার রোজা মনি, কোথায় গেলি রে মা।

তারপর অটো ভাড়া করে পুরো তেজগাঁও এলাকায় মাইকিং করা হয়৷ কিন্তু ছোট্টো রোজা মনির শব্দ যেন কোথাও থেকে আসছেনা।
মাইকিং এ যখন বলা হচ্ছিল - মেয়েটার বয়স পাঁচ বছর, পড়নে জামা ছিল মা টা তখন মেয়ের নাম ধরে বিলাপ করে কাঁদছিল।
সহ্য করতে না পেরে অটোর পেছন পেছন চলে আসতে চাচ্ছিল। কিন্তু
  অসহায় মায়ের পা যেন কোন ভাবেই আর এগুচ্ছিল না।
এভাবেই গতকাল রাতটা পার হয়। এত কান্নার মধ্যেও মা ভেবেছিলেন যেহেতু মাইকিং করা হয়েছে তাহলে বোধহয় সকালে পাওয়া যাবে।
 
একটা ক্ষীণ আশা বুকে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতেই ঘুমিয়ে পড়েন মা। আজকেও সকাল থেকে মাইকিং করা হচ্ছিল।
 
মা টা এদিক ওদিক দৌড়ে মেয়েটার খোঁজ করতেছিল আর যাকে পাচ্ছিল তাকেই জিজ্ঞেস করছিল - আমার রোজা মনিকে তোমরা কেউ দেখছো?
সবাই যখন মাথা নেড়ে না করে তখন মা দৌঁড়ে গিয়ে আরেক জনকে জিজ্ঞেস করে এভাবে দুপুর গড়ায়।
বিকালের দিকে কয়েকজন লোক দেখতে পায় তেজগাঁও জামে মসজিদের গলিতে কাপড় দিয়ে পেঁচানো কিছু একটা পড়ে আছে, বিচ্ছিরি গন্ধ আসতেছে।
 
সবাই কৌতূহলী হয়ে কাছে গিয়ে দেখতে পায় ছোট একটা মেয়ের লা*শ। না জানি রোজা মনির লাশ না তো?
তারপর এলাকায় জানা জানি হলে খবর পেয়ে ওই মা টাও ছুটে আসে। আসতে আসতে মনে মনে দোয়া করতে থাকে যাতে এটা তার আদরের মেয়ে রোজা না হয়।
কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস!
 মা টা এসে কাপড় উল্টেই দেখতে পায় এটা তো তার মেয়েটাই, এ তো তার আদরের রোজা মনি।
একদম জুবুথুবু হয়ে মরে পড়ে আছে শরীরে ক্ষতের চিহ্ন, প্রথমে ধ*র্ষণ করা হয়েছে, তারপর মুখে একখাবলা চাল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে শ্বাস নিতে না পারে।
 
তারপর জোরে গলা টিপে শ্বাস বন্ধ করে মারা হয়েছে।
 মৃত্যুর সময় মেয়েটা যে নিদারুণ কষ্ট পেয়েছে তার ছাপ মেয়েটার চোখে মুখে ছিল। গলাতে চড়া দাগ ছিল, মুখটাও বন্ধ ছিল। 
সবশেষে গরম পানি ঢেলে শরীরের কিছু অংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে যাতে কেউ চিনতে না পারে। আহ্ এই কোন জাহেলি যুগ, আহা অমানুষের দল।
কিন্তু মা দেখেই চিনে ফেলে তার আদরের মেয়ে রোজা মনি। এমন একটা মহুর্ত যেন ঘা শিউরে
  উঠে।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

ad728
ad728